Posts

মহান নেত্রী কল্পনা চাকমার ৪৫'তম জন্মদিন আজ

আজ ১'লা মে। পার্বত্য চট্টগ্রামের বিপ্লবী নারীনেত্রী কল্পনা চাকমার ৪৫'তম জন্মদিন। ১৯৭৬ সালের আজকের এইদিনে রাঙ্গামাটি জেলার দুর্গম বাঘাইছড়ি উপজেলার নিউ লাল্যাঘোনা গ্রামের এক শ্রমঘনিষ্ঠ পরিবারে জন্ম হয় বিপ্লবী নারী নেত্রী কল্পনা চাকমার। পার্বত্য অঞ্চলের প্রত্যন্ত গ্রামে বেড়ে ওঠা "কল্পনা চাকমা" ছিলেন বেশ অন্তর্মূখী ও শান্ত স্বভাবের। শৈশব থেকেই চরম দারিদ্র, সামাজিক বৈষম্য, নারী পুরুষের ভেদাভেদ ও জাতিগত নীপিড়ন-নির্যাতন দেখে বড় হয়েছেন কল্পনা চাকমা। নিজেকে বোঝার সাথে সাথেই ছাত্রজীবন থেকে(এসএসসি পাশ করার পরে) যোগ দেন পার্বত্য চট্টগ্রামের লড়াকু নারী সংগঠন "হিল উইমেন্স ফেডারেশন"-এর সাথে। হিল উইমেন্স ফেডারেশনকে অন্যায় ও বৈষম্যর প্রতিবাদী মঞ্চ হিসেবে পেয়ে রপ্ত করলেন রূখে দাড়ানোর মন্ত্র। শৈশবে বাবা হারানো, চরম দুর্দিন, অভাব-অনটন ও মানবেতর জীবনের সাথে অনবরত লড়াই করে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে হয়েছিলো কল্পনা চাকমাকে। শত প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও নিজেকে হতাশ হতে দেয়নি। আগামীর অদম্য স্পৃহা নিয়ে এগিয়ে যেতে হয়েছিলো সামনের সম্ভাবনায়। লিঙ্গ বৈষম্য, নারীর প্রতি ধর্মীয় অবজ্ঞা, জাতিগত নিপীড়

অধিকারের জন্য লড়াই সংগ্রাম করা কেন দল বা সংগঠন সন্ত্রাসী হতে পারেনা।

1947 সালে ভারতীয় উপমহাদেশ দুইভাগ হয়ে 14' আগস্ট সৃষ্টি হয় "পাকিস্তান" এবং 15 আগস্ট সৃষ্টি হয় "ভারত" নামক রাষ্ট্র। পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টি হওয়ার পর থেকেই শুরু হয় পূর্ব-পাকিস্তানের প্রতি পশ্চিম-পাকিস্তানের অবহেলা আর বৈষম্য। 1940 সালের লাহোর প্রস্তাবে ভারতের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের মুসলীম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকাগুলো নিয়ে একাদিক আলাদা রাষ্ট্র গঠন করার কথা থাকলেও "মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ" লাহোর প্রস্তাব পরিবর্তন করে ঘোষণা করেন একাদিন আলাদা রাষ্ট্র গঠন না হয়ে একটি মাত্র রাষ্ট্র গঠন করা হবে এবং সেটি হবে পাকিস্তান। তার সেই ঘোষণার কারণে বাঙালীদের মনে জন্ম হয় হতাশা। কারণ বাঙালী মুসলমানরা চেয়েছিলো ভারতের পূর্বাংশ নিয়ে একটি স্বাধীন বাঙালী মুসলূম রাষ্ট্র গঠন করতে। কিন্তু 1946 সালের 9 এপ্রিল দিল্লিতে মুসলীম লীগের দলীয় আইন সভার এক কনভেনশনে নীতিবহির্ভূতভাবে "জিন্নাহ" লাহোর প্রস্তাব সংশোধনের নামে ভিন্ন একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এখান থেকে নিঃসন্দেহে বলা যায় 1940 সালের লাহোর প্রস্তাবের উপরে ভিত্তি করে নয়, 1947 সালের 9 এপ্রিল দিল্লি প্রস্তাবের উপর ভিত্তি করেই জন্ম সৃষ্টি

ভূ-রাজনীতির ডামাডোলে পাহাড়ে পোশাকি ঐক্যর ফেরিওয়ালারা বেশ সরগরম

Image
প্রথমে আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনীতির দিকে একটু করে চোখ বুলিয়ে দেখি। অনেক দিন ধরেই বলাবলি হচ্ছে, বিশ্বে ক্ষমতার ভারসাম্যে পরিবর্তন আসছে। ক্ষমতার ভর অনেকটাই বেইজিংয়ের দিকে সরে যাচ্ছে। অর্থনৈতিকভাবে চীন অনেকটাই বিশ্বকে দখলে নিয়েছে। এখন সামরিক শক্তি প্রকাশের পালা। ভারতই চীনের আগ্রাসী সামরিক শক্তির প্রথম শিকার হতে পারে। হঠাৎ করেই যেন দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি বদলে গেল। সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি পুরোটাই কবজায় নেয় ভারত। এই অঞ্চলের রাজনীতিতে পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে শক্তির ভারসাম্য রক্ষা করে চলতো। কিন্তু জঙ্গিবাদ, তালেবানসহ নানা সংকটে জড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের মিত্র পাকিস্তান নিজেই এখন অস্তিত্ব নিয়ে লড়ছে। ভূ-রাজনীতির ডামাডোলে পার্বত্য চট্টগ্রামে তথাকথিত ঐক্যের ফেরিওয়ালারা মাঠে নেমেছে। মনে হয় যেন আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্যের পক্ষে এদের অবস্থান। তাহলে আমি বলতে চাই, ঐক্যের পূর্ব শর্ত কি শুধুই ফেসবুকে চিল্লাচিল্লি করা? ফেসবুকে শুধুমাত্র ঐক্য-ঐক্য করে চিল্লাচিল্লি, চেঁচামেচি ও চিৎকার করলে ঐক্য হয় না, ঐক্য আসতে পারে না। ঐক্য চাইলে আগে ঐক্য-সমালোচনা-ঐক্য এই পদ্ধতি অন

সেনাতন্ত্রের দাবানলে অস্তিত্বের সংকটে আদিবাসীরা|Tapan's Blog

Image
আমরা দেখেছি বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামের বাস্তবতা কেমন ভয়াভহ ছিলো। ৯ মাস ব্যাপী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লক্ষ বাপ-ভাইয়ের জীবন উৎসর্গ ও দুই লক্ষ মা-বোনের ইজ্জত লুন্ঠনের বিনিময়ে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনে সক্ষম হয় বাংলাদেশ নামক দেশটি। বাঙালী জাতীর স্বাধীনতা লাভের মূলে ব্যাপক পরিসরের ভূমিকা ছিলো আদিবাসীদেরও। পার্বত্য চট্টগ্রাম হলো আদিবাসীদের আবাসভূমি। ৭১ সালে সদ্য স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশ নামক দেশটির একটা অংশ ছিলো পার্বত্য চট্টগ্রাম। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই শুরু হয়েছিলো পার্বত্য চট্টগ্রামের বসবাসরত আদিবাসীদের উপর রাষ্ট্রীয় বর্বর ইতিহাস। তখন থেকেই পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীরা নানাভাবে জাতীগত বৈষম্য থেকে শুরু করে নির্যাতন, নিপীড়ন, গণহত্যা সহ ভূমি উচ্ছেদের শিকার হয়ে আসছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্র কতৃক। সেসময়েও সেনাবাহিনী মানেই ছিলো পাহাড়ের আদিবাসীদের একটি বিরাট আতংকের নাম। পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান বাস্তবতানুসারে এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিবেশ পরিস্থিতি। এখনো আদিবাসীরা বাংলার স্বাধীন সার্বভৌমত্বের কাছে চরম অনিরাপদ। নিরাপত্তাহীন

পাহাড়ে অভাব,অনতন,বৈষম্য ও করোনা ভাইরাস:একটি প্রাসঙ্গিক ভাবনা| Tapan's Blog

Image
পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি জেলায় অনেক অনেক দুর্গম এলাকা আছে। সেসব দুর্গম পাহাড়ী এলাকায় করোনার পূর্ববর্তী স্বাভাবিক পরিস্থিতিতেও চরম খাদ্য সংকটে থাকে সেখানকার স্থানীয় পাহাড়ী আদিবাসীরা। তাঁরা দিনমজুর করে দিনে এনে দিনে খায়। কখনো কখনো দিনে তিন বেলার এক বেলা খেয়ে পেটের ক্ষুদা নিবারণের অতৃপ্ততা নিয়ে বেঁচে থাকার সংগ্রাম করতে হয় তাদের। পাহাড়ের দুর্গম এলাকাগুলোতে যাতায়তের সু-ব্যাবস্থা নেই, চিকিৎসা সেবার সু-ব্যাবস্থা নেই, শিক্ষা ব্যাবস্থা ঠিক নেই, বাজারজাত করণের সুবিধা নেই। সামাজিক, অর্থনৈতিক দুরাবস্থার কারণে ঐ দুর্গম পাহাড়ী এলাকার মানুষগুলো রাজনৈতিকভাবেও অনেক পিছিয়ে পড়া। শ্রমশক্তি, উৎপাদন শক্তি তাদের হাতে ন্যাস্ত থাকলেও অর্থনৈতিক ভিত্তির অপ্রতুল্যতার কারণে তারা সেগুলোকে যথাযথভাবে প্রয়োগীক অর্থে ব্যাবহার করতে পারছে না। তার মধ্যে আরেকটা বড় প্রতিবন্ধকতা হলো বাজারজাত করণের অপর্যাপ্ত যাতায়ত ব্যাবস্থা। অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল গুতিকয়েক ব্যাক্তির কাছে দুর্গম পাহাড়ী এলাকার মানুষগুলোর শ্রমশক্তি, উৎপাদন শক্তি জিম্মি। সম্প্রতি বাঃদেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে পাহাড়ের দুর্গম এলাকার দিনমজুর করে দিনে

ম্রো পাড়ায় লকডাউন গেইট ভেঙে পুলিশের হয়রানিমূলক তল্লাশি ও গ্রেফতার| Tapan's Blog

Image
ম্রো পাড়া যেকোন মহামারির সময়ে খাসুর(গেইট বানিয়ে) দিয়ে পাড়া বন্ধ করে রাখা ম্রো সমাজের একটি ঐতিহাসিক প্রথা। বিভিন্ন মহামারি মোকাবেলায় ম্রো পূর্বপুরুষদের এই ঐতিহাসিক প্রথা ম্রো সমাজে বর্তমানেও চলমান রয়েছে। ম্রো'রা নিজ সচেতনতার উৎস থেকে এই প্রথাকে বেশ গুরুত্ব দিয়ে আসছে দীর্ঘকাল ধরে। দেশে যখন প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেয়, করোনা প্রাদুর্ভাবে যখন গোটা বিশ্ব মৃত্যুর মিছিলে নিঃস্তব্দ হয়ে যাচ্ছিলো, তারই প্রেক্ষিতে বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার একটি ম্রো পাড়ায় প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় নিজেদের পাড়া এবং পাড়ার মানুষদের করোনা থেকে দূরে রাখতে, সারা দেশে অঘোষিত লকডাউন পরিস্থিতিতে ম্রো পূর্বপুরুষদের দেখিয়ে দিয়ে যাওয়া ঐতিহাসিক প্রথাকে কাজে লাগিয়ে নিজ সচেতনতার জায়গা থেকে স্থানীয় ম্রোরা পাড়ায় ঢুকার প্রধান পথ'টি খাসুর(গেইট) দিয়ে বন্ধ করে রাখে। এবং সেই খাসুর বা গেইট'টি ভেঙে লামা থানা পুলিশ ম্রো পাড়ায় ঢুকে বিভিন্নভাবে হয়রানিমূলক তল্লাশি চালিয়ে স্থানীয় দুই নিরীহ ম্রো'কে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়য়!!! পুলিশের ভাষ্যমতে "মেরিডিয়ান কোম্পানি"র অভিযোগের ভিত্তিতে ম

বৌদ্ধ ধর্মানুভূতিতে আঘাত: এক মুসলমান ভাইয়ের অযৌক্তিক মন্তব্য| Tapan's Blog

Image
ধর্মের সমালোচনা করা যাবেনা এমন কোন কথা নেই। আপনি সমালোচনা করুন, তাতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু সমালোচকদের সর্বাগ্রে একটা কথা পরিষ্কার মনে রাখা উচিৎ যে, সমালোচনা যাতে যৌক্তিক এবং গ্রহনযোগ্য হয়। এটাও মনে রাখতে হবে যে আপনার আমার কোন অযৌক্তিক সমালোচনার তীরে যাতে কোন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত না আসে। এখানে বাঙালী মুসলমান ভাইটি গৌতম বুদ্ধ ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় নীতি নিয়ে যা বলেছেন নিজের ফেইসবুক টাইম লাইনে আসলে তা একজন প্রকৃত যুক্তিবাদীর কোন যৌক্তিক সমালোচনার পর্যায়ে পরেনা। ভাইটি যে নাস্তিক সেটাও না। কারণ, আমি বারবার বলি নাস্তিকরা ধর্মের প্রতিকূলে থাকে ঠিক। কিন্তু নাস্তিকরা থাকে ধর্ম কিংবা কোন বিষয় বস্তু নিয়ে অযৌক্তিক সমালোচনা কিংবা বিদ্রুপ মন্তব্য করার সীমারেখার বাইরে। অযৌক্তিক সমালোচনার স্থান নাস্তিকতাবাদে নেই। প্রথম ছবিটিতে লক্ষ্য করুন। ভাইটি লিখেছে "বিশ্বব্যাপী Covid-19 সংক্রমণ, প্রতিকার ও প্রতিরোধ ব্যাপী এক গা ঘেষাঘেষি তাক মাথা ভিক্ষুদের সম্মেলনে ভাষণ প্রদান করছেন বাসর রাতে যৌন কর্মে অক্ষম পলাতক গৌতম বুদ্ধ"!!! এই লেখায় কোন প্রমাণও রেখে যাননি ভাইটি। "বাস