Posts

Showing posts from February, 2020

মুক্তচিন্তার নক্ষত্র অভিজিৎ রায়; শ্রদ্ধাভরে স্মরণ| Tapan's Blog

Image
ড: অভিজিৎ রায় মুক্তমনের নক্ষত্র হারানোর 26'শে ফেব্রুয়ারি আজ! 2015 সালের 26'শে ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ আজকের এই দিনে 'একুশে বইমেলা' থেকে ফেরার পথে মৌলবাদী অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে নৃসংশভাবে হত্যা করে বাংলাদেশী-মার্কিন প্রকৌশলী, মুক্তচিন্তার লেখক ও ব্লগার, মুক্তমনা বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা শ্রদ্ধেয় ড: অভিজিৎ রায় দাদাকে এবং একই সাথে আহত করা হয় তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাকেও!!! বাংলাদেশ সরকারের সেন্সরশিপ এবং ব্লগারদের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রতিবাদের সমন্বয়কারক ছিলেন শ্রদ্ধেয় অভিজিৎ রায় দাদা। অবশ্যই অভিজিৎ রায় দাদাকে হত্যার দায় স্বীকার করেছিলো বাংলাদেশের জঙ্গী সংগঠন "আনসারুল্লাহ বাংলা টিম"!!! কিন্তু অপ্রিয় হলেও এটাই সত্য, অভিজিৎ রায় দাদা হত্যার বিচার এই 5টি বছরেও ন্যায়গতভাবে করতে পারেনি 30 লক্ষ শহীদের রক্তের উপর দাড়ানো স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ! প্রকৃতপক্ষে এই স্বাধীন বাংলার মাটিতে অভিজিৎ রায় দাদা হত্যার বিচার কখনোই হবেনা। কারণ এই রাষ্ট্র চেয়েছিলো মনেপ্রাণে অভিজিৎ রায় দাদার প্রাণ হরন করে দিতে। মুক্তচিন্তার অস্তিত্ব দেশের মাটি থেকে উৎখাত করতে!!! কিন্তু

কবিতা: বিভেদ কেন?

Image
Posted by Tapan কবিতা:-বিভেদ কেন? কবি:-তপন চাকমা ============== অতি ক্ষন জীবন বয়সে জন্ম নিয়েছি পৃথিবীতে, কেন করি এত বিভেদ? পারিনা চলতে একসাথে। আজ আছি কাল নেই এটাই জগৎ নীতি, তবুও কেন বিভেদে মরি একি জীবনের রীতি? জগৎ পরিচয়ে মানুষ মোরা রক্ত মোদের লাল, ধনী গরীব সবাই সমান মোদের জীবন বিশাল। ওরে মহা মানুষ প্রাণী বিভেদ যাও ভূলে, অশান্তিকে দাও ছূঁড়ে ফেলে শান্তি নাও তুলে।

চিরুনি অভিযান পাহাড়ের সমস্যা সমাধান ও স্থায়ী শান্তির পথ নয়| Tapan's Blog

Image
পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যাটি একটি রাজনৈতিক সমস্যা।রাজনৈতিক সমস্যা যেহেতু, সেহেতু এই সমস্যার সমাধান একমাত্র রাজনৈতিক উপায়ে সম্ভব। পাহাড়ে ঝরছে তাঁজা প্রাণ!গত ১৮ই মার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছিলো তিন পার্বত্য জেলায় (খাগড়াছড়ি,বান্দরবান,রাঙ্গামাটি) ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।নির্বাচনি দায়িত্ব শেষ করে জিপগাড়ি দিয়ে ফেরার পথে বাঘাইছড়ি উপজেলার দুর্গম এলাকায় দুর্বৃত্তদের ব্রাশফায়ারে ঝরে গেল ৭ জন নির্বাচনী কর্মকর্তার তাঁজা প্রাণ।তারপরের দিন ১৯ই মার্চ নির্বাচন সম্পন্ন করে বিলাইছড়ি উপজেলার ফারুয়া থেকে বিলাইছড়ি সদরে ফেরার পথে 'তিনকোনিয়া' নামক এলাকায় মাইনাস হলো আরেকটি প্রাণ।তিনি ছিলেন বিলাইছড়ি উপজেলা আ:লীগের সভাপতি সুরেশ কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা।এভাবেই ক্রমান্বয়ে ঝরছে পার্বত্য চট্টগ্রামে হাজার হাজার প্রাণ।বিগত সময়ের তুলনায় বর্তমানেও পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের চরম আতংকের মধ্য দিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় হাটতে হচ্ছে লাল রক্তে রঞ্জিত পাহাড়ের পিচ্ছিল পথে!!! পাহাড়ের এই অরাজক পরিবেশ পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রনের নামে! সমাধান,স্থায়ী শান্তির নামে! পাহাড়ের নিরাপত্তাহীনতার আতংকে থাকা জুম্ম আদিবাসীদের উপর কঠোরপন্থায় অব্

পাহাড়ের আদিবাসীদের ভয় আর আতংক| Tapan's Blog

Image
এখনো আতংকিত! এর থেকে আরো অধিকতর কঠিন আতংকে ও নিরাপত্তাহীনতায় আমাদের দিন অতিবাহিত করতে হবে! কখনো একবেলা খেয়ে বা না খেয়ে! সারাদিনের পরিশ্রম শেষে এখন আর ক্লান্ত শরীরকে স্বস্তি দেওয়ার বিন্দুমাত্র সুযোগ নেই। ভয় আর আতংকের মধ্য দিয়ে রাত কাটাতে হয় বনে জঙ্গলে নিদ্রাবিহীন শারীরিক ক্লান্তিতে। কখন যে দেশদ্রোহিতা, রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সহ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীর তকমা লাগিয়ে ধরে নিয়ে গিয়ে ব্রাশ ফায়ারে আমার দেহ অস্তীত্বহীন করে দেয় তার কোন ইয়ত্তা নেই।তাই ভয় আর আতংক থাকে সবসময়। এসব নাটকীয় গল্প কাহিনী নয়, বাংলাদেশ নামক স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র কতৃক পাহাড়ের বুকে চলমান বর্তমান সময়ের রক্তাক্ত বাস্তবতা! অপ্রিয় সত্য কথা, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে এবং আমরা পাহাড়ের জুম্ম জাতিগোষ্ঠীরা স্বাধীন দেশের স্বাধীন জনগন হিসেবে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং গণতন্ত্রের যেসমস্ত মৌলিক অধিকার নিয়ে স্বাধীনতার সফলতা অনুভব করার কথা তার একচুল পরিমান পাহাড়ের পাহাড়ী মানুষদের অনুকূলে নেই! যা আছে সবটাই নৃসংশতা, বর্বরতা---------। আমরা পাহাড়ের মানুষ। আমরা শান্তি চাই। অশান্তি, নৃসংশতা, বর্বরতা আমাদের মোটেও

একটি আদিবাসী মায়ের কান্না| Tapan's Blog

Image
আদিবাসী মা নৃসংশতা, বর্বরতার আতংকে থাকা ছোট্ট শিশুটিও এখন প্রতিদিনের ন্যায় সময় ঘনিয়ে আসলে মা'কে বলে ওঠে "মা কখন পালাবো"। কারণ প্রত্যকটা দিন ঘর ছেড়ে বনে জঙ্গলে পালিয়ে থাকতে থাকতে শিশুটির রীতিমত একটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তাই শিশুটি সময় আসলে নিজ থেকে তার মা'কে বলে ওঠে "মা কখন পালাবো?"!!! একটি দিনের জন্য সন্তানকে কোলে রেখে নিজ ভিটেমাটিতে নিজ পরিশ্রমে গড়া ছোট্ট কূড়েঘরটিতে শান্তির পরশ খনিতে এখন আর মায়ের ঘুমানোর সুযোগ হয়ে উঠেনা।কখন না কখন জলপায়ীরা এসে বন্দুকের নল তাক করে সন্তানকে মায়ের কোল থেকে ছিনিয়ে নিয়ে সন্তানের অস্তিত্বহীন নিথর দেহ'টি মাটিয়ে লুটিয়ে ফেলে দিয়ে চলে যায়, সেই আতংক থাকে মায়ের ক্ষত বিক্ষত হৃদয়ে সবসময়! কখন যে নিজের স্বতিত্ত্বকে সন্তানের সম্মুখে হরন করে দেয়া হয়, সেই নিরাপত্তাহীনতায় মা থাকে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে বিস্তর সংকিত।শধু এখানেই থেমে নেই, জলপায়ী নরপিশাচদের দানবিয় হিংস্র থাবায় স্বামী হারানোর ভয় থাকে সবসময়! ভাই হারানোর ভয় থাকে সবসময়! বোন হারানোর ভয় থাকে সবসময়! আত্মীয় স্বজন, পাড়া প্রতিবেশি হারানোর ভয় থাকে সবসময়। স্বাধীন সার্বভৌম গণতান্ত্

আদিবাসী অস্তিত্বের সংকটময় পরিস্থিতি ও পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান প্রেক্ষাপথ| Tapan's Blog

Image
পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান প্রেক্ষাপথ বিবেচনায় আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর অস্তিত্ব এখন চরম সংকটাপন্ন ও ক্রান্তির অবস্থানে দাড়ানো। পাহাড়ের প্রকৃতিও এখন বেশ হতাশ। যাপিত বাস্তবতার উপত্যকায় দাড়ানো জীববৈচিত্রতার আর্তচিৎকার। প্রকট ধ্বনিত পাহাড়ের ক্রন্দন। সবমিলিয়ে পাহাড় কিংবা পার্বত্য চট্টগ্রামের বাস্তবতা এবং পাহাড়ের সহজ সরল আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীগুলোর অস্তিত্ব ব্যাপক হুমকির মূখে পতিত। একসময় পাহাড় অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমির অনুকূলে বেশ সবুজ ছিলো, কিন্তু এখন আর নেই। সবুজ পাহাড়কে বিবর্ণ করা হয়েছে। চরম বিবর্ণ!!! যে বিবর্ণের হিংস্র ছাঁয়াই পাহাড়কে তিলে তিলে মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে পর্যবসিত হতে হচ্ছে। পাহাড়ের ভূমিপুত্র আদিবাসীরা একসময় তাদের জন্মভূমি পাহাড়ের বুকে প্রাণভরে উচ্ছাসিত নিশ্বাস নিতে পারতো, এখন আর সেটা পারেনা। সম্ভবও না। তাদের এখন স্বস্তির নিশ্বাস নিতে বেশ কষ্ট হয়। দম বন্ধ হয়ে আসে। দিনশেষে তারা তাদের স্বাতন্ত্র্য অস্তিত্ব হারিয়ে যাওয়ার শ্বাসকষ্টে ভোগে। 1971 সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর থেকে রাষ্ট্রের কাছে আদিবাসীরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে তাদের অস্তিত্ব মৌলিভাবে সংরক্ষনের দাবি করে আসছিলো। কিন্তু রাষ

পাহাড়ে পূর্বসংঘটিত হত্যাকান্ডের হালচাল| Tapan's Blog

Image
প্রথম ঘটনাটি ঘটে ২৫ মার্চ ১৯৮০ সালে।ঐ দিন কাউখালী থানার সেনাকর্মকর্তা কলমপতি ইউনিয়নভুক্ত নোয়াপাড়া বৌদ্ধ মন্দিরটির আসন্ন কিছু উৎসব উপলক্ষে মেরামতের বিষয়টি আলোচনার জন্য স্থানীয় জুম্ম গ্রামবাসীদের সমবেত হওয়ার নির্দেশ দেন।যখন গ্রামবাসীরা সমবেত হয় তখন সেনাবাহিনীর কিছু সদস্য সমবেত গ্রামবাসীদের উপর অতর্কিতভাবে গুলি চালায়।এতে আনুমানিক ৩০০ পাহাড়ী জুম্ম নিহত হয় এবং আরো অনেকেই আহত হয়।এরপর সেনাবাহিনীর সদস্য এবং নতুন বসতিকারী সেটেলার বাঙালীরা একযোগে কলমপতি ইউনিয়নের ২০টি গ্রামের উপর আক্রমন চালায়,বাড়িঘর লুন্ঠন করে,জ্বালিয়ে দেয় এবং ইউনিয়নের ৯টি বৌদ্ধ মন্দির ধ্বংস করে দেয়।২০ জন বৌদ্ধ ভিক্ষুকে কুপিয়ে হত্যা এবং মারধর করা হয়।তাছারা ৩০ জন জুম্ম নারীকে অপহরন করে ধর্ষণ করা হয়।এরপর ১৯৮১ সালের ২৫ জুন মাটিরাঙ্গা এবং বেলছড়ি এলাকার জুম্ম গ্রামগুলিতে যথাক্রমে আক্রমন চালানো হয়।এবং নির্বিচারে জুম্ম পাহাড়ীদের হত্যা করা হয়।শতশত বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়া হয় এবং লুন্ঠন করা হয়।এতে কয়েকশত জুম্ম পাহাড়ি নিহত এবং আহত হয়।ঐ ঘটনার পর রামগড়,মাটিরাঙ্গা এবং তার আশপাশের গ্রামগুলি হতে ২০ হাজার জুম্ম পাহাড়ী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে পালি