Posts

Showing posts from March, 2020

বৌদ্ধ ধর্মানুভূতিতে আঘাত: এক মুসলমান ভাইয়ের অযৌক্তিক মন্তব্য| Tapan's Blog

Image
ধর্মের সমালোচনা করা যাবেনা এমন কোন কথা নেই। আপনি সমালোচনা করুন, তাতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু সমালোচকদের সর্বাগ্রে একটা কথা পরিষ্কার মনে রাখা উচিৎ যে, সমালোচনা যাতে যৌক্তিক এবং গ্রহনযোগ্য হয়। এটাও মনে রাখতে হবে যে আপনার আমার কোন অযৌক্তিক সমালোচনার তীরে যাতে কোন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত না আসে। এখানে বাঙালী মুসলমান ভাইটি গৌতম বুদ্ধ ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় নীতি নিয়ে যা বলেছেন নিজের ফেইসবুক টাইম লাইনে আসলে তা একজন প্রকৃত যুক্তিবাদীর কোন যৌক্তিক সমালোচনার পর্যায়ে পরেনা। ভাইটি যে নাস্তিক সেটাও না। কারণ, আমি বারবার বলি নাস্তিকরা ধর্মের প্রতিকূলে থাকে ঠিক। কিন্তু নাস্তিকরা থাকে ধর্ম কিংবা কোন বিষয় বস্তু নিয়ে অযৌক্তিক সমালোচনা কিংবা বিদ্রুপ মন্তব্য করার সীমারেখার বাইরে। অযৌক্তিক সমালোচনার স্থান নাস্তিকতাবাদে নেই। প্রথম ছবিটিতে লক্ষ্য করুন। ভাইটি লিখেছে "বিশ্বব্যাপী Covid-19 সংক্রমণ, প্রতিকার ও প্রতিরোধ ব্যাপী এক গা ঘেষাঘেষি তাক মাথা ভিক্ষুদের সম্মেলনে ভাষণ প্রদান করছেন বাসর রাতে যৌন কর্মে অক্ষম পলাতক গৌতম বুদ্ধ"!!! এই লেখায় কোন প্রমাণও রেখে যাননি ভাইটি। "বাস

বেঁচে থাকুক বাউলবাদী দর্শন| Tapan's Blog

Image
অষ্টাদশ ও উনবিংশ শতাব্দীতে বাঃদেশে একদদল রহস্যবাদী সাধকের জন্ম হয়েছিলো। তাঁরা গান করতেন বেশির ভাগই আধ্যাত্মবাদী ও দেহত্ববাদী কথার সুরে। গানের মাধ্যমেই তারা তাদের মত বা দর্শন প্রচার-প্রসার করে গেছেন। মূলত অষ্টাদশ ও উনবিংশ শতাব্দীতে জন্ম নেয়া ঐ রহস্যবাদীরাই পরবর্তীতে পরিচিতি লাভ করলো "বাউল" সম্প্রদায় নামে।  অনেকেই মনে করেন মরমিবাদী দর্শনের সাথে বাউল দর্শনের অনেকটে যোগসূত্র আছে বা রয়েছে। তবে আমার ব্যাক্তি ধারণা অর্থাৎ আমি যা মনে করি তা হলো "মরমিবাদী" দর্শনের সাথে "বাউল" দর্শনের সেরকম কোন গভীর যোগসূত্র নেই। কারণ, মরমিবাদী দর্শন পরমসত্বার সাক্ষাত সাধন পেতে চাই। কিন্তু বাউলবাদী দর্শন পরমসত্বার সাক্ষাত নয় তারা প্রেমতত্বে বিশ্বাসী। বাউলেরা জগৎ সংসারকে উপেক্ষা করে অধ্যাত্মিক ধ্যানে মগ্ন থাকেন এবং সামাজিক আচার-অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলেন। হিন্দু, মুসলমান বলে বাউল দর্শনে কিছু নেই। উভয় সম্প্রদায়ই বাউল হয়। তারা জন্মগতভাবে কেউ হিন্দু, কেউ মুসলমান হলেও যখন বাউল ধর্মে দীক্ষিত হয় তখন তারা জাতি, ধর্ম, বর্ণ সম্প্রদায়ের উর্ধ্বে গিয়ে এক মহান মানবতাবাদী দর্শনের দৃষ্টিভঙ্গী

দেশের সমস্ত গণশ্রমজীবি কারখানা ও পর্যটন কেন্দ্র অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা জরুরী

Image
দেশের সকল গণশ্রমজীবি কলকারখানা ও পর্যটন কেন্দ্র এখনো বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়েছে কিনা(?) বিশেষ করে পার্বত্য অঞ্চলের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। করোনা'র প্রভাবে দেশের স্কুল, কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়া হলো। কিন্তু এখনো বন্ধ করে দেয়া হলোনা গণশ্রমজীবি কলকারখানা ও পর্যটন কেন্দ্রগুলো!!! অর্থনৈতিক সংকটের ভয়ে দেশের গণশ্রমজীবি কারখানার এতগুলো মানুষের জীবন অনিশ্চয়তার মূখোমূখী করার কোন মানে হয়না। মানুষগুলো বেঁচে থাকলে তবেই তো অর্থনৈতিক ভিত্তি শক্তিশালি অবস্থানে দাড়াবে। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থানকে গতিশীল রাখতে হলে আগে দেশের মানুষদের বাঁচাতে হবে। দেশের মানুষদের জীবন অনিশ্চয়তার মূখে পতিত করে অর্থনৈতিক ভিত্তি গতিশীল রাখার চিন্তা করা অনর্থক। করোনা'র এই প্রভাবিত পরিস্থিতিতে শ্রমজীবি মানুষগুলোর কথা বাদ দিয়ে কেবল স্কুল, কলেজ বন্ধ ঘোষণা করলে হবেনা। শ্রমজীবি মানুষগুলোর নিরাপত্তার স্বার্থে দেশের সকল কলকারখানাগুলোও অনির্দিষ্ট কালের জন্যে বন্ধ ঘোষণা করা জরুরী। স্কুল, কলেজ বন্ধ ঘোষণা হওয়ার পরপরই দেখা যাচ্ছে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের ব্যাপক আনাঘোনা। প্রবাসীরা বিদেশ থেকে দেশে ফিরছে। অবস