পাহাড়ের আদিবাসীদের ভয় আর আতংক| Tapan's Blog
এখনো আতংকিত! এর থেকে আরো অধিকতর কঠিন আতংকে ও নিরাপত্তাহীনতায় আমাদের দিন অতিবাহিত করতে হবে! কখনো একবেলা খেয়ে বা না খেয়ে! সারাদিনের পরিশ্রম শেষে এখন আর ক্লান্ত শরীরকে স্বস্তি দেওয়ার বিন্দুমাত্র সুযোগ নেই। ভয় আর আতংকের মধ্য দিয়ে রাত কাটাতে হয় বনে জঙ্গলে নিদ্রাবিহীন শারীরিক ক্লান্তিতে। কখন যে দেশদ্রোহিতা, রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সহ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীর তকমা লাগিয়ে ধরে নিয়ে গিয়ে ব্রাশ ফায়ারে আমার দেহ অস্তীত্বহীন করে দেয় তার কোন ইয়ত্তা নেই।তাই ভয় আর আতংক থাকে সবসময়। এসব নাটকীয় গল্প কাহিনী নয়, বাংলাদেশ নামক স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র কতৃক পাহাড়ের বুকে চলমান বর্তমান সময়ের রক্তাক্ত বাস্তবতা!
অপ্রিয় সত্য কথা, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে এবং আমরা পাহাড়ের জুম্ম জাতিগোষ্ঠীরা স্বাধীন দেশের স্বাধীন জনগন হিসেবে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং গণতন্ত্রের যেসমস্ত মৌলিক অধিকার নিয়ে স্বাধীনতার সফলতা অনুভব করার কথা তার একচুল পরিমান পাহাড়ের পাহাড়ী মানুষদের অনুকূলে নেই! যা আছে সবটাই নৃসংশতা, বর্বরতা---------।
আমরা পাহাড়ের মানুষ। আমরা শান্তি চাই। অশান্তি, নৃসংশতা, বর্বরতা আমাদের মোটেও কাম্য নহে।ষরযন্ত্রমূলক নাটকীয় গ্রেফতার করে আমাদের গলায় দেশদ্রোহি, রাষ্ট্রদ্রোহি ও বিচ্ছিন্নতাবাদীর সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়ে, সন্ত্রাসীর তকমা লাগিয়ে দিয়ে পাহাড়ের শান্তি পাহাড়ের বুকে ফেরাতে পারবেন না। এবং বন্দুক দিয়ে, বুলেট দিয়ে পাহাড়ের ১৩ ভাষাভাষি ১৪টি জুম্ম জাতিগোষ্ঠীর প্রাণের দাবি "পার্বত্য চুক্তি" পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন সহ আত্মনিয়ন্ত্রনাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সংগ্রামকে দমিয়ে রাখতে পারবেন না। ব্রাশ ফায়ার করে রাজপথে অধিকার প্রতিষ্ঠার স্লোগানমূখর বলিষ্ট কন্ঠস্বরকে স্তব্ধ করতে পারবেন না।যে হাতে আমাদের কলম চালানোর অভিজ্ঞতা অনেক বেশি, সে হাতে কলম ছেড়ে অস্ত্র চালানোর অভিজ্ঞতাও অনেক বেশি। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী অবিলম্বে পাহাড়ের অধিকার, স্বাধিকার পাহাড়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়ে পাহাড়ের বুক থেকে আপনার সেনাতন্ত্র বন্ধ করুন। অন্যতায় পাহাড়ের যে কোন অনাকাঙ্খিত পরিবেশ পরিস্থিতির জন্য দায়ি থাকবেন আপনি।
সহমত
ReplyDelete